Headlines
Loading...
শ্রীমদ্ভগবদ্‌ গীতায় কি সনাতন ধর্মের নাম উল্লেখ করা হয়েছে?

শ্রীমদ্ভগবদ্‌ গীতায় কি সনাতন ধর্মের নাম উল্লেখ করা হয়েছে?


ইসলাম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, আমলেও হিন্দু ধর্ম বলে আলাদা কোনো ধর্ম ছিলো না। ভারতকে পাশ্চাত্য জগৎ “হিন্দ” বলতো। এই দেশের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ভুক্ত ধর্মকে হিন্দুধর্ম বলা হয়। 

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতায় "সনাতন ধর্ম" শব্দটি সরাসরি উল্লেখ নেই, তবে "সনাতন" শব্দটি ধর্মের চিরন্তন প্রকৃতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে। সনাতন ধর্ম শব্দ পুরাণ ও মনুস্মৃতিতে বলা হয়েছে। এটি বলে যে সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি হলো চিরন্তন নীতি যা সত্য তাহা অনাদি, অনন্ত কালেও অপরিবর্তীত। 

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা সনাতন ধর্মের উল্লেখ 

গীতার ১১ অধ্যায়ের ১৮ নম্বর শ্লোক বলছে

ত্বমব্যয়ঃ শাশ্বতো ধর্মগোপ্তা সনাতনস্ত্বং পুরুষো মতো মে। 
 অনাদিমধ্যান্তমনন্তবীর্যং অনন্তবাহুং শশিসূর্যনেত্রম্॥

 বাংলা অনুবাদ:

ত্বমব্যয়ঃ —তুমি অব্যয় (অপরিবর্তনীয়), শাশ্বতো ধর্মগোপ্তা: —(তুমি) শাশ্বত (চিরন্তন) এবং ধর্ম রক্ষক। সনাতনস্ত্বং পুরুষো—তুমি সনাতন (শাশ্বত) পুরুষ। অনাদিমধ্যান্তমনন্তবীর্যংতো: —তোমার আদি, মধ্য ও অন্ত নেই, তুমি অসীম বীর, অনন্তবাহুং — তোমার অসংখ্য বাহু, শশিসূর্যনেত্রম্ —চন্দ্র ও সূর্য তোমার নয়ন। 

এখানে "সনাতন" ও “শাশ্বত” দুটি শব্দ পাই। দুটির অর্থ একই। সনাতন শব্দটি পরম পুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে এবং “শাশ্বতো ধর্মগোপ্তা” অর্থাৎ শাশ্বত ধর্মের রক্ষক।

এটি সরাসরি "সনাতন ধর্ম" বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভগবানের নিত্য ও অবিনাশী স্বরূপ "সনাতনস্ত্বং পুরুষো"। অর্থ এটাই যে, সনাতন পুরুষের ধর্মও সনাতন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—

সনাতন ধর্মের নাম ও ব্যখ্যা কোথায় পাওয়া যায়?

সনাতন ধর্মের নাম মনুস্মৃতির ৯ অধ্যায়ের ৬৪ নং শ্লোকে পাওয়া যায়। 

শ্রুতিদ্বৈধং স্মৃতিদ্বৈধং ধর্মশাস্ত্রেষু বৈ পুনঃ | 
যোঽবলীয়েত স ধর্মোহ্যেষ ধর্মঃ সনাতনঃ || 

Śruti-dvaidhaṁ smṛti-dvaidhaṁ dharma-śāstreṣu vai punaḥ | Yo'valīyeta sa dharmo hyeṣa dharmaḥ sanātanaḥ ||) 

বাংলা অনুবাদ: 

 "যে ধর্ম শ্রুতি, স্মৃতি ও ধর্মশাস্ত্রের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে, সেই ধর্মই প্রকৃত ধর্ম এবং এটিই সনাতন ধর্ম।"

 ব্যাখ্যা: এখানে "সনাতন ধর্ম" বলতে সেই চিরন্তন ধর্মব্যবস্থা বোঝানো হয়েছে, যা বেদ, স্মৃতি ও শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থে সনাতন জ্ঞান রয়েছে। নিশ্চিত ভাবে এই শ্লোক থেকেই হিন্দু ধর্মকে "সনাতন ধর্ম" বলা যায়।

Rig Veda 3.3.1
वैश्वानराय पृथुपाजसे विपो रत्ना विधंत धरुणेषु गातवे ।
अग्निर्हि देवाँ अमृतो दुवस्यत्यथा धर्माणि सनता न दूदुषत् ॥

vaishvAnarAya pRRithupAjase vipo ratnA vidhaMta dharuNeShu gAtave | agnirhi devAN amRRito duvasyatyathA dharmANi sanatA na dUduShat ||

ভাবার্থ : বৈশ্বানর হল সেই অগ্নিরূপ যা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিদ্যমান - যজ্ঞে, প্রকৃতিতে এবং জীবের মধ্যে সর্বব্যাপী অগ্নি, যিনিপ্রচুর শক্তির অধিকারী বা তেজস্বী, - হে ঋষিরা (বিপ), তোমরা যজ্ঞে রত্ন (রত্ন বলতে  আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত সমৃদ্ধি) বহনকারী স্থানে স্থানে (ধারুণেষু) যজ্ঞ (গতে) নিবেদন করেন। অমৃতরূপী অগ্নি দেবতাদের সেবা করেন এবং তাই কখনও সনাতন ধর্ম (অথবা চিরন্তন নিয়ম)  -কে কখনও কলুষিত (ধ্বংস) হতে দেন না।

এই সনাতন ধর্ম আসলে কি? 

সনাতন, শ্বাশত, চিরন্তন বা সর্বদা যা স্থিত এবং সত্য এদের অর্থ একই। স্থান কাল বা পরিস্থিতিতে যে নীতি বা সত্য কাজ করে। সেই নীতি বা সত্যকে সনাতন ধর্ম বলে। 

উদাহরণ স্বরূপ, বরফে তাপ দিলে সেটি জলে পরিণত হয়, জলে তাপ দিলে সেটি বাষ্পে পরিণত হয়। এভাবে বাষ্পে তাপ দিলে সেটি আর পরিবর্তন হতে পারে না। স্থান, কাল বা পরিস্থিতিতে এই নীতি পৃথিবী এমনকি ব্রহ্মান্ডের যে কোনো কোনায় সর্বদা যা স্থিত এবং সত্য। আবার, পাঁচ তলা থেকে ডিমকে বিনা বাধায় গুরুত্বাকর্ষণের দিকে ফেললে ডিম ফেটে যাবে। তা সে আমেরিকা হোক বা মঙ্গল গ্রহ। মানুষের ক্ষেত্রেও একই।

 মনুস্মৃতি ১.৮১ নম্বর শ্লোকে বলছে।

বেদঃ স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বস্য চ প্রিয়মাত্মনঃ |
এতচ্চতুর্বিধং প্রাহুঃ সাক্ষাদ্ধর্মস্য লক্ষণম্ ||

  —Vedaḥ smṛtiḥ sadācāraḥ svasya ca priyamātmanaḥ | Etac caturvidhaṁ prāhuḥ sākṣād dharmasya lakṣaṇam ||

বাংলা অনুবাদ: বেদ, স্মৃতি, সৎ আচরণ এবং আত্মার পছন্দনীয় যা – এই চারটি ধর্মের প্রত্যক্ষ লক্ষণ বলে বিবেচিত হয়। 

এই বক্তব্য খ্রিস্টান, ইসলাম, বৌদ্ধ বা নাস্তিকরা  অস্বীকার করতে পারে। কারণ তারা নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থের বানীকে ধর্ম মনে করে। আমার বেদ, স্মৃতি নাস্তিকের কি কাজে লাগবে? 

তবে মনুস্মৃতির পাতায় বক্তব্য শুনুন।

সত্য ধর্মই সনাতন ধর্ম।

 মনুস্মৃতি অধ্যায় ৬ এর ৯০ থেকে ৯২ দেখুন কি বলছে।

সত্যং দানং তপঃ শৌচং যজ্ঞোঽনসূযতা ক্ষমা |
দ্রব্যানাং পরিহাসশ্চ তপো দ্বাদশলক্ষণম্ ||

বাংলা অনুবাদ: নিরপেক্ষ বুদ্ধিতে চলা বা কথা বলা হলো সত্য, কোনো কিছু আশা না করে কাউকে কিছু দেওয়া হলো প্রকৃত দান, দৃষ্ট, অদৃষ্ট কষ্ট সহ্য করেও অধ্যবসায় করার নাম তপস্যা, শৌচং অর্থাৎ মানসিক ও শারীরিক পবিত্রতা, যজ্ঞ অর্থাৎ ঈশ্বর নিমিত্ত কর্ম, অন্যের প্রতি ঈর্ষাহীনতা, ক্ষমাশীলতা, এবং পার্থিব বস্তুগুলোর প্রতি আসক্তির পরিত্যাগ—এই দ্বাদশ (বারো) গুণকে তপস্যার লক্ষণ বলা হয়। ভান করতে হয় না, স্বভাবতই এগুলো প্রকাশ পায়।

কোনো আস্তিক, নাস্তিক, ব্রাহ্মণ, চন্ডাল, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রীষ্টানের মধ্যে যদি এই গুণ গুলি দেখা যায়। তবে সেও একজন তপস্বী। এখানে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের বিশেষ নিষ্টা সম্পর্কে বলা হচ্ছে না। এটি সার্বিক গুণের কথা বলা হচ্ছে।

অর্থাৎ দূর্গা শিব কালী পূজা করলেই যে সে তপস্বী এমনটি হয়। জিনি অধ্যাবসায় বা diligence  দ্বারা উক্ত গুণ গুলি নিজের মধ্যে বিকশিত করবেন। তিনিই তপস্বী। 

এরপর ধর্মের ভিত্তি সম্পর্কে জানুন—

ধর্মের ভিত্তি

মনুস্মৃতি বলছে:—
সত্যং ব্রূয়াৎ প্রিয়ং ব্রূয়ান্ন ব্রূয়াৎ সত্যমপ্রিয়ম্।
প্রিয়ং চ নানৃতং ব্রূয়াদেষ ধর্মঃ সনাতনঃ
সে যা সত্য তাই বলবে, আর যা পছন্দনীয় তাই বলবে; সে যা সত্য কিন্তু অপ্রিয় তা বলবে না, আর যা পছন্দনীয় কিন্তু সত্য তা বলবে না; এটাই চিরন্তন নিয়ম।
অহিংসা সত্যবচনং দানমিন্দ্রিয়নিগ্রহঃ।
এতদ্বর্ণাশ্রমাণাং হি ধর্মস্য মূল মুচ্যতে॥

বাংলা অনুবাদ: অহিংসা, সত্যবাদিতা, দান এবং ইন্দ্রিয় সংযম—এই গুণগুলোই সকল বর্ণ ও আশ্রমের জন্য ধর্মের মূল ভিত্তি বলে গণ্য করা হয়।

প্রত্যাশা না করে কাউকে কোনো কিছু দেওয়া দান, নিরপেক্ষ বুদ্ধিতে যথা যথ বক্তব্য বা পরিমিত কথা বলা সত্যবাদিতা, কায়-মনো-বাক্য দ্বারা কাউকে আঘাত না করা অহিংসা, চোখ, কান, নাক, জিহ্বা, ত্বক ও মনের সুখের বিষয় থেকে নিজেকে নির্লিপ্ত রেখে কর্ম করাকে ইন্দ্রিয় সংযম বলা হয়। 

এই গুণ গুলো কি একজন নাস্তিক, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন অধর্ম বলতে পারেন? অতিরিক্ত মূর্খ না হলে পারবেন না। কারণ, এগুলোই আসল মনুষ্য ধর্মের ভিত্তি। 

তাই বলা হয়েছে “এতদ্বর্ণাশ্রমাণাং হি ধর্মস্য মূল মুচ্যতে”। “বর্ণাশ্রমাণাং” শব্দে বর্ণ এবং আশ্রম ভেদে ধর্মের (অর্থাৎ গুণ ও কর্তব্যের) বিভাগ করা হয়েছে। 

মূর্তি পূজা করলে পাপ হবে, অমুক ঈশ্বরের কোনো মূর্তি নেই, তাঁকে ছাড়া অন্য কিছু পূজা করা যাবে না — এগুলো ফালতু কথা। প্রকৃত ধর্মের সঙ্গে এই অবাঞ্ছিত গোঁড়ামির দূর দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই। নাস্তিকের জীবনেও এর কোনো গুরুত্ব নেই। তবে অহিংসা, সত্যবাদিতা, দান এবং ইন্দ্রিয় সংযম এগুলো কি কেউ মানব ধর্ম বলবে না? নিজেই বিচার করুন।

এরপর মনুস্মৃতী ধর্মের লক্ষ্মণ সম্পর্কে বলছেন।

ধর্মের দশটি লক্ষ্মণ।

ধৃতিঃ ক্ষমা দমস্তেয়ং শৌচমিন্দ্রিয়নিগ্রহঃ ।
ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধো দশকং ধর্ম লক্ষণম্ ॥

বাংলা অনুবাদ: ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সংযম, চৌর্যবৃত্তি পরিহার, পবিত্রতা, ইন্দ্রিয় সংযম, বুদ্ধি, জ্ঞান, সত্যবাদিতা, এবং ক্রোধহীনতা—এই দশটি গুণকে ধর্মের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ইহুদি ও খ্রিস্টান উভয়ই মোজেস এর দশটি নিয়ম মেনে চলে একে “টেন কমান্ডমেন্ট” বলা হয়। 

বাইবেল, কুরআন জ্বালিয়ে দিলে খ্রিস্টান ও মুসলমানরা অধৈর্য হয়ে যায়। দেব দেবীর মূর্তি ভেঙে ফেললে হিন্দুরা অধৈর্য হয়ে যায়। কিন্তু যে দেবতার বই বা মূর্তি, সে নির্বিকার চিত্তে দেখে। এটা ধৈর্য। তিনি মানুষের অজ্ঞতা ক্ষমা করে দেন, তিনি পরিস্থিতি বুঝে আত্ম সংযম করে থাকেন। জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে দেখুন তো। ওই বই বা মূর্তি কি আবার তৈরী করা যাবে না? ওই অপমান কি আপনার ধর্ম বিশ্বাসের বা সম্প্রদায়ের ঈশ্বরের হয়েছে? নাকি যে বা যারা এই কুকীর্তি করেছে তার ধর্ম সম্প্রদায়ের নাম বদনাম হয়েছে? এই বিবেক জ্ঞান গুলোই আমাদের মানুষ বানায়। এগুলোই “ধর্ম লক্ষণম্” অর্থাৎ ধর্মের লক্ষ্মণ। 

ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মে মোজেসের মাধ্যমে ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত "টেন কমান্ডমেন্ট" বাইবেলের এক্সোডাস ২০:১-১৭ এবং ডিউটেরোনমি ৫:৬-২১-এ উল্লেখিত। এই নিয়মগুলো হলো:

  • তুমি আমি ছাড়া অন্য কোনো দেবতার উপাসনা করবে না
  • তুমি কোনো মূর্তি তৈরি করবে না বা তার উপাসনা করবে না
  • তুমি তোমার ঈশ্বরের নাম বৃথা উচ্চারণ করবে না। 
  • বিশ্রামবার (সাব্বাথ বা রবিবার ) পবিত্র রাখবে
  • তোমার পিতা-মাতার সম্মান করবে।
  • তুমি হত্যা করবে না।
  • তুমি ব্যভিচার করবে না।
  • তুমি চুরি করবে না।তুমি মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে না।
  • তুমি অন্যের সম্পত্তি বা স্ত্রীর প্রতি লোভ করবে না।

 এই নিয়মগুলো ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের মূল নৈতিক ও ধর্মীয় কাঠামো গঠন করে। টেন কমান্ডমেন্টের প্রথম চারটি নিয়ম সরাসরি ঈশ্বরের প্রতি একনিষ্ঠতা ও উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কিত। মনুস্মৃতির গুণগুলোতে ঈশ্বরের উপাসনার চেয়ে ব্যক্তির নৈতিক ও আধ্যাত্মিক গুণাবলির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।

মূর্তি পূজা করলাম, নাকি নিরাকার পূজা করলাম। অমুক ঈশ্বরের পূজা করলাম নাকি পাথরের পূজা করলাম। এসব সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়েছে। এক এক নবী এক এক কথা বলেছে। কিন্তু সনাতন ধর্মের শাস্ত্র সিদ্ধান্ত সর্ব কালে, সর্ব স্থানে সত্য ও নির্বিকল্প।

মনুস্মৃতি ৬.৯০-৯২-এ উল্লেখিত গুণাবলি (যেমন সত্য, অহিংসা, ক্ষমা) প্রায় সকল ধর্মেই কোনো না কোনো রূপে পাওয়া যায়। তাই, সনাতন ধর্ম এই গুণগুলোকে শাশ্বত এবং সর্বজনীন হিসেবে উপস্থাপন করে।

পরিশিষ্ট:

আধুনিক যুগেও আমরা ধর্মের কথা বলতে গেলেও এই সদাচার, সংযম এবং ক্ষমাশীলতার মতো গুণাবলির উপর জোর দিই। তবে, মানুষ প্রায়ই নিজের বিশ্বাস বা সংস্কৃতি অনুযায়ী ধর্মের ব্যাখ্যা করে। 

সনাতন ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে, ধর্ম হলো সেই শাশ্বত পথ যা আত্মার মুক্তি এবং ঈশ্বরের সঙ্গে একত্বের দিকে নিয়ে যায়। আজকের আলোচনার বিষয় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় "সনাতন ধর্ম" শব্দটি আছে কি নেই– এই নিয়ে ছিলো। আমাদের জবাব হলো সরাসরি নেই, তবে "শাশ্বত" শব্দের মাধ্যমে চিরন্তন ধর্মের নীতি (যেমন আত্মার অবিনশ্বরতা, ঈশ্বরের শাশ্বত সত্তা, স্বধর্ম পালন) সনাতন ধর্ম প্রকাশ পেয়েছে।

0 Comments:

Smart Ads for Smart Businesses Ads by TDads